নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনালে উঠেছিলো ১৪ বছর পর। কিন্তু অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না। কুয়েতের কাছে একমাত্র গোলে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। 

[৩] শক্তিশালী কুয়েতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেছে লাল-সবুজের সেনারা। একশ’ বিশ মিনিটের হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া লড়াইয়ে একাধিক গোলেরও সুযোগ পেয়েছিলো জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু বল কাক্সিক্ষত ঠিকানা খুঁজে পায়নি।   

[৪] নির্ধারিত ৯০ মিনিট আটকে রাখার পর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও কুয়েতকে প্রায় আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আর মোমেন্টাম ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। খেই হারিয়ে গোল হজম করে বসে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

[৫] বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবার ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুবর্ণ সুযোগ কড়া নাড়ল দরজায়। সাড়া দিতে পারলেন না শেখ মোরসালিন। এরপর গোললাইন থেকে হেড ফিরিয়ে দলের ত্রাতা ইসা ফয়সাল। আনিসুর রহমান জিকোও পোস্ট আগলে রাখলেন দারুণ দৃঢ়তায়। 

[৬] দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্য সহায় হলো না, রাকিব হোসেনের শট ফিরল ক্রসবার কাঁপিয়ে। অতিরিক্ত সময়ে এসে গোল হজম করে বসল বাংলাদেশ। শক্তিশালী কুয়েতের চোখে চোখ রেখে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হলো হারের বিষাদ।

[৭] ২০০৯ সালের পর সাফে সেমিফাইনালে প্রথম উঠেছিল বাংলাদেশ। হাভিয়ের কাবরেরার দলের সামনে হাতছানি ছিল ২০০৫ সালের পর প্রথম ফাইনালে ওঠার। কিন্তু দুর্দান্ত লড়াই করেও পারলেন না জামাল-জিকোরা। অতিথি দল হিসেবে সাফে প্রথম খেলতে এসেই ফাইনালের মঞ্চে উঠল কুয়েত। 

[ ৮] এর আগে জাতীয় পর্যায়ে ১৯৭৩ সালে মারদেকা টুর্নামেন্টে ১-২ গোলে এবং ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে ০-৪ গোলে বাংলাদেশ পরাজিত হয় কুয়েতের কাছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না